চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালত চত্বরের সামনে থেকে আব্দুল ওয়াহেদ নামে একজনকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতনের পর রাস্তায় ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার (৭ মে) সাড়ে ১২ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালত চত্বরের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা।
এ বিষয়ে মারধরের শিকার ভুক্তভোগী আব্দুল ওয়াহেদ থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ী এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে আব্দুল ওয়াহেদ (২৯)।
অভিযুক্তরা হলেন- রুমি (৪৫), রবিউল ইসলাম (৩৫), শিপলব (৫০), খালেক (৫৫), সানাউল্লা (৫৩), তোফায়েল (৪৮), সাগর (২৮), মামুন(৩৫) ভুক্তভোগী আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, প্রায় ১ বছর পূর্বে ৩ হতে ৮ নং বিবাদীদের সঙ্গে বিরোধ চলছে যার কারণে আমাকে অভিযুক্ত করে আদালতে তারা একটি মামলা দায়ের করেন প্রতিপক্ষরা।
গত মঙ্গলবার (৭ মে) সাড়ে ১২ টার দিকে আমি আদালতে হাজিরা শেষ করে আদালত চত্বরের সামনে গেলে প্রতিপক্ষরা আমাকে ঘেরাও করে আমাকে হত্যার উদ্যেশে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি অটোগাড়িতে করে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে হয়ে বাঁতেন খা মোড় ম্যাংগো টাওয়ারের পিছনে চায়ের দোকানে বসিয়ে রেখে কিছুক্ষন পর তারা দিবানিশি ক্লিনিকের পিছনে একটি গোডাউন ঘরের মধ্যে আমাকে আটকে রেখে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মারধর ও নির্যাতন চালায় এবং আমার কাছে একটি ব্যাগে থাকা নগদ ৭ লক্ষ্য ৫০০ টাকা প্রতিপক্ষরা ছিনিয়ে তারা আমাকে বাঁতেন খা মোড়ে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনার পর আমি পরিবারে বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকজন দ্রুত এসে আমাকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা শেষে সদর মডেল থানায় হাজির হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছেন।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিন্টু রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত এজাহার পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।