নিউজ ডেস্ক
দেশের চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং এটি দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এর আগে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড তাপমাত্রা। মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস।
এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা ছিল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আজ আবার সেই তাপমাত্রা ছাড়াল।
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এতে তীব্র গরমে দিনরাত পার করছেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ।
বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ আরও বেশি। তীব্র রোদ ও গরমের কারণে তারা পর্যাপ্ত আয় করতে পারছেন না।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝাঁঝালো রোদ দেখা যায়। বেশ কিছুদিন ধরে সকাল ৯টা তেই তাপমাত্রা উঠে যাচ্ছে ৩০ ডিগ্রির ওপরে।
আজও সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপমাত্রার পাশাপাশি আছে লু হাওয়া। গরম বাতাসে চোখমুখ ঝলসে যাচ্ছে। মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে। ধারণক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি থাকছে হাসপাতালে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিনের গরমে রাস্তায় চলাফেরা করতে কষ্ট হচ্ছে। ফ্যানের বাতাসও অনেক গরম। রাতের বেলায় ফ্যানের বাতাসেও শরীরের ভিজে যাচ্ছে।
এ জন্য রাতেও ঘুমাতে পারছেন না তারা। টিউবওয়েলের পানিও অনেক গরম। তাই পানি খেয়েও পিপাসা মিটছে না।
শ্রমিকেরা জানান, দিনের বেলায় অতিরিক্ত গরমে কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। রাতে বাড়িতে গিয়েও ঘুমাতে পারছেন না তাঁরা। ফলে পরের দিন আবারও কাজে গিয়ে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে আজ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও নাটোরে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।