চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
পবিত্র কুরআনে মাহন আল্লাহ তা'আলা অসংখ্য যায়গায় এই তাক্বওয়ার কথা বলেছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করেছেন: হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর রমজানের রোজা কে ফরয করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর করা হয়েছিলো, যেন তোমরা মুত্তাকী (তাক্বওয়াবান) হতে পারো। (সূরা: বাক্বারা, আয়াত: ১৮৩)
তাক্বওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা দিয়েছেন অন্যতম সাহাবী উবাই ইবনে কাব (রা.)।
একবার উমর (রা.) উবাই ইবনে কাব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, তাক্বওয়া কী? উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, (কাঁটা বিছানো পথে) আপনি কীভাবে হেঁটেছেন? উমর (রা.) বলেন, খুব সাবধানে কষ্ট সহ্য করে হেঁটেছি, যাতে আমার শরিরে কাঁটা বেঁধে না যায়। উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, এটাই হচ্ছে তাক্বওয়া। (তাফসিরে কুরতুবি, ইবনে কাসির)।
কাঁটাযুক্ত পথে কাঁটা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ যেভাবে সতর্ক হয়ে চলে, ঠিক সেইভাবে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ যা নিষিদ্ধ করেছেন সেগুলো থেকে বেঁচে থাকা এবং আল্লাহর কাছে জান্নাত লাভের আশায় আল্লাহ যা আদেশ করেছেন তা অনুযায়ী আমল করার নাম-ই তাক্বওয়া।
সাঈদ বিন জুবায়ের (রাহ.) বলেন, "তাক্বওয়া হলো যা তোমার ও তোমার পালনকর্তার অবাধ্যতার মাঝে বাধা সৃষ্টি করে" (ইবনে কাসির, সূরা: ফাতির ২৮ নম্বর আয়াতের তাফসির)।
তাক্বওয়ার তিনটি স্তর:
১. অন্তর ও সব অঙ্গ গুনাহ ও হারাম কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখা।
২. মাকরূহ বা ঘৃণিত কাজ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখ।
৩. অনর্থক ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।
তাক্বওয়ার উপকারিতা:
১. আল্লাহর সাহায্য ও নৈকট্য পাওয় যায়।
২.শেষ পরিনাম ভালো হয়।
৩. উত্তম প্রতিদান পাওয়া যায়।
৪. সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
৫. দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা অর্জিত হয়