গোমস্তাপুর প্রতিনিধি
বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে নিজস্ব খাদ্যাভ্যাস। যার একটি স্বতন্ত্র অনুষঙ্গ পিঠা-পুলি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের রহনপুরে ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার জ্ঞানচক্র একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী পিঠা-পুলি উৎসবের আয়োজন করেন রহনপুর জ্ঞানচক্র একাডেমি।
বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এই পিঠা-পুলির উৎসব আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সকাল ১০ টায় ফিতা কেটে দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত আনজুম অনন্যা।
রহনপুর জ্ঞানচক্র একাডেমির পরিচালক সারওয়ার হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসহাক আলী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রহনপুর আহম্মদী বেগম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) জাকির হোসেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন রহনপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সুলতান আলম খান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আহমদ, মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুস সালাম তালুকদার, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আসমা খাতুন প্রমুখ।
সরগরম উৎসব আঙিনায় পিঠা খাওয়া- কেনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দৃশ্যকে স্মৃতিময় করে রাখতে উৎসব প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও দর্শনার্থীরা নিজ মোবাইলে সেলফি তুলতে রাখতে দেখা যায়। প্রধান অতিথি বলেন, বাঙালির ঐতিহ্য প্রবাহেরই একটি অংশ হচ্ছে লোকসংস্কৃতির অংশ সবার প্রিয় এই খাদ্যগুলো। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বানানো প্রতিটি পিঠাই আছে প্রাণের ছোঁয়া, মিশে আছে আবেগ। এটি পৃথিবীতে বিরল।
বৈষম্য বিরোধী একটি সমাজ তথা দেশ গঠনের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। জ্ঞানচক্র একাডেমির এমন আয়োজন এলাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে মেলে ধরা আগামীর প্রজন্মের জন্য এক অনন্য উদাহরণ। গ্রামীণ ঐতিহ্যের অনেক কিছুই বিলুপ্তের পথে। এগুলোকে টিকিয়ে রাখতে এই পিঠা-পুলির উৎসব এক সময় উপযোগী আয়োজন।
উৎসবের আয়োজক ও জ্ঞানচক্র একাডেমির পরিচালক সারওয়ার হাবিব বলেন, অত্যন্ত অঞ্চল থেকে পিঠা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই আয়োজন। দিনব্যাপী এ আয়োজনে ৮ টি স্টলে ৮৫ রকমের পিঠা-পুলি প্রদর্শন করা হয়।