বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই কার্তিক ১৪৩১, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪
BD NEWS LIVE 99
BD NEWS LIVE 99

দেশের ২৭ জেলায় রাসেলস ভাইপার

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্ক

রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া। সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর অন্যতম। বহু বছর দেখা না গেলেও ২০১২ সালের পর বরেন্দ্র এলাকায় চোখে পড়ে রাসেলস ভাইপার। গত বছর ছড়িয়ে পড়ে অনেক এলাকায়।

দেশের ২৭ জেলায় ছড়িয়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। বেশি ছড়াচ্ছে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে। এই তথ্য সরকারের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের। গবেষকেরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণেই ছড়াচ্ছে রাসেলস ভাইপার। এই সাপের কামড়ে দেড় বছরে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই মারা গেছেন অন্তত ১৮ জন।

রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি—এসব জেলায় ছড়িয়ে রাসেলস ভাইপার।

রাসেলস ভাইপার সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে। দেড় বছরে এ সাপের কামড়ে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই ভর্তি হয়েছেন ৬৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। গবেষকেরা বলছেন, মূলত পদ্মা অববাহিকায় চাঁদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ এমনকি ঢাকাতেও দেখা মিলছে রাসেলস ভাইপারের। এটিই একমাত্র বিষধর সাপ, যে বাচ্চা দেয়। প্রতিবারে জন্ম নেয় ৪০ থেকে ৫০টি বাচ্চা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত আদ্রতা ও অতিরিক্ত গরম অনুভূত হচ্ছে। আর নদীর পানির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। লবণাক্ত এলাকা বাড়ছে। এমন পরিবেশ রাসেলস ভাইপারের জন্য উপযুক্ত। শুধু এদের বেঁচে থাকার জন্য নয়, তাদের বংশবৃদ্ধির জন্যও।

ভেনোম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, ‘ভারতবর্ষের যে অংশটা আমাদের রাজশাহী এলাকার সঙ্গে লাগোয়া, ওই অঞ্চল হয়ে পানির সঙ্গে স্রোতের মাধ্যমে গঙ্গা পদ্মা হয়ে সেটা এখানে চলে এসেছে। দেখা গেছে যে এই নদীর মাধ্যমেই ছড়িয়ে গেছে। এগুলো পদ্মার নিচের দিকের এলাকায় যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে উপরের এলাকাতেও।

এরই মধ্যে ৫০টি রাসেলস ভাইপার সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলছে এন্টি ভেনম তৈরির গবেষণা। বর্তমানে এই সাপে কাটলে দেওয়া হয় ভারতে তৈরি এন্টি ভেনম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘নিজস্ব সাপের বিরুদ্ধে যখন নিজস্ব অ্যান্টি ভেনম তৈরি হবে, তখন আমরা বলতে পারব আমরা এই সাপে কাটা রোগীদের সঠিক সেবা দিতে পারছি।

এর আগ পর্যন্ত আমাদের ভারতের অ্যান্টিভেনমের ওপর ভরসা করে থাকতে হবে। কিছুটা অলস প্রকৃতির রাসেলস ভাইপারের প্রধান খাবার ইদুর, ব্যাঙ, পোকামাকড়। তাই ফসলি জমিতে দেখা যায় একে। ফলে, আতঙ্কে অনেক এলাকার কৃষক।

Share:
মন্তব্য সমুহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
আর্কাইভ

Follow Us

এলাকার খবর

ad

ফিচার নিউজ

১২ই অক্টোবর ২০২৪ বিকাল ০৪:২৯ / চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা

পাঠানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে…

১২ই অক্টোবর ২০২৪ দুপুর ০১:১২ / চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা

গোমস্তাপুরে ১৬ বিজিবি চাঁড়াল ডাঙ্গা ক্যাম্পের পূজা মন্ডুপ…

১০ই অক্টোবর ২০২৪ বিকাল ০৫:১৯ / চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালিত

২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯ / জাতীয়

সমালোচনায় বিচলিত নয় সরকার, কণ্ঠরোধ করা হবে না:…

১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ দুপুর ০২:২৯ / চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা

সন্তানদের একটি ভালো পোষাক কিংবা দুবেলা দুমুঠো ভাত…

৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ সকাল ১১:৩৫ / চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত

৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৩:০২ / অর্থনীতি

দেশে রিজার্ভ ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার