নাচোল প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে মির্জাপুর কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। ১৯ আগস্ট সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলার ফতেপুর ইউপির মির্জাপুর বাজারে মির্জাপুর কলেজের অধ্যক্ষ শেখ জাহাঙ্গীর আলমের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে তার পদত্যাগের দাবিতে এক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকমহল। এ উপলক্ষে মির্জাপুর কলেজের অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয়দের অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ র্যালী মির্জাপুর বাজার প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ চত্বরে মিলিত হয়। সেখানে কলেজের অধ্যক্ষ শেখ জাহাঙ্গীর আলম সাময়িক ছুটিতে থাকা অবস্থায় তাঁর অনিয়ম, দূর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ফিরিস্তি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সচেতন নাগিরিকের পক্ষে কবির হোসেন, ওই কলেজের একাদ্বশ শ্রেণীর ছাত্র সোহাগ আলী, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র বিপ্লব, সাবেক ছাত্র ফরহাদ হোসেন ও ওয়াসিম আলী ও শিক্ষানুরাগী গোলাম মোস্তফা। বিক্ষোভ সমাবেশে কবির হোসেন জানান, অধ্যক্ষ শেখ জাহাঙ্গীর আলম স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিগত ২০২১ সালের চলমান বৈধ কমিটিকে গোপনে বাতিল দেখিয়ে তার মনগড়া কাগুজে পকেট কমিটি করে ততকালিন বোর্ড চেয়ারম্যানের নিকট থেকে বৈধ করে নেন। ওই কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৫/০২/২০২১ তারিখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সহকারী জজ আদালতে(অপ্র-২৭/২০২১ নং)একটি রীট হয়। দীর্ঘ শুনানীর পর বিজ্ঞ আদালত গত ১৫/১২/২০২১ তারিখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও তার কার্যক্রম বিধি বহির্ভূত মর্মে আদেশ দেন। কিন্তু অধ্যক্ষ আদালতের আদেশ পাস কাটিয়ে তাঁর পকেট কমিটির মাধ্যমে কলেজের উন্নয়ন ফান্ডে টাকা জমা করার কথা বলে প্রায় ৮১ লাখ টাকার বিনিময়ে কলেজের ল্যাব সহকারি, ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট (উদ্ভিদ বিজ্ঞান), ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট(রসায়ন), ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট(পদার্থ বিজ্ঞান) ও ল্যাব সহকারি পদে ৫ জনকে রাতারাতি নিয়োগ দেন। কিন্তু ওই টাকা কলেজের উন্নয়ন ফান্ডে জামা না করে সমস্ত টাকা অধ্যক্ষ আত্মসাত করেছেন। কলেজের নামে দানকৃত জমিতে ভবন নির্মান না করে অন্যের জমিতে কলেজ ভবন নির্মান, পরিত্যক্ত ভবনের ইট বিক্রি, আমগাছের বাৎসরিক লীজের টাকা ও শিক্ষকদের টাকায় ক্রয় করা ৬লাখ টাকা মূল্যের শিক্ষার্থী বহনের গাড়ি অবৈধভাবে বিক্রি করে টাকা আত্মস্বাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম ধূর্ণীতির অভিযোগে অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগের দাবী জানান অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা। এসময় শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সাময়িক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউর রহমান(ইসলামী শিক্ষা) তাঁর দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।