নিউজ ডেস্ক
বস্তায় আদা চাষ করে বাড়তি আয়ের পথ খুলেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে, এই পদ্ধতিতে আদা চাষে ফসলি জমির দরকার না হওয়ায় চাষিরা বাড়ির ছাদে কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় সিমেন্ট বা অন্যকোনো বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন। চলতি বছরে জেলার ৫ উপজেলায় ২ লাখ ১৫ হাজার ৫০০ বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রকল্পের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪০ হাজার, শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট উপজেলায় ৩০ হাজার করে ৬০ হাজার বস্তাসহ মোট এক লাখ বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে।
এছাড়া সদর উপজেলায় আরও ৬০ হাজার, শিবগঞ্জে ২০ হাজার, গোমস্তাপুরে ৩ হাজার, নাচোলে ২ হাজার ৫০০ ও ভোলাহাট উপজেলায় ৬০ জন উদ্বুদ্ধ হয়ে বস্তায় আদা চাষ করেছেন।
বস্তায় চাষের বাইরে জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় ৫৪৬ শতক জমিতে আদাষ করেছেন কৃষকরা। এর মধ্যে প্রকল্পের আওতায় ১৬০ শতক ও উদ্বুদ্ধ হয়ে ৩৮৬ শতক জমিতে এই আদা চাষ করা হয়।
সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনিসুল হক মাহমুদ জানান- বস্তায় প্রথমে ১০ কেজি মাটি, ৭৫ গ্রাম বীজ, ১০ গ্রাম ইউরিয়া, ২০ গ্রাম টিএসপি, ১০ গ্রাম ডিএপি, ১০ গ্রাম এমওপি, ১০ গ্রাম দানাদার কীটনাশক, ৫ গ্রাম জিংক, ৫ গ্রাম বোরণ, ৫ কেজি গোবর, ২ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট মিশিয়ে নিতে হবে। আদা রোপণের সময় হচ্ছে এপ্রিল-মে মাস। তবে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ আদা লাগানোর উপযুক্ত সময়।
আনিসুল হক মাহমুদ জানান, এক বস্তা আদা চাষে খরচ হয় ৬১ টাকা এবং ১ কেজির দাম দেড়শ টাকা ধরে আয় ধরা হয়েছে ৮৯ টাকা। তবে বর্তমান বাজারমূল্য অনেক বেশি। সে হিসেবে লাভের পরিমাণ আরো বাড়বে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে চাষিরা বস্তায় লাগানো আদা ঘরে তুলতে পারবেন বলে তিনি জানান।