নিউজ ডেস্ক
চেন্নাই টেস্টের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষেই শেষবার টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন ঋষভ পন্ত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফর থেকে ফিরে গিয়েই ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। মারাত্মকভাবে আহত হয়ে দীর্ঘদিন থাকেন হাসপাতালে। সর্বশেষ আইপিএল দিয়ে মাঠের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটে পন্তের। এরপর দেশের জার্সিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ফিরলেও টেস্টের জন্য অপেক্ষা বাড়ছিলই।
বাংলাদেশ সিরিজ দিয়ে সে অপেক্ষারও অবসান হয়েছে। লাল বলের ক্রিকেটে দীর্ঘ ২১ মাস পর ফিরেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন পন্ত। আজ চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজের পর দ্বিতীয় সেশনের চতুর্থ ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে লং অফে ঠেলে দিয়ে ২ রান নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি (১২৪ বল) তুলে নেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। বে সেঞ্চুরি করে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পন্ত। মিরাজের পরের ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন ১২৮ বলে ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৯ রান করা পন্ত। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন শুবমান গিলও (১১৯*)।
দুই সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪ উইকেটে ২৮৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস সমাপ্তির ঘোষণা করেছে ভারত। এতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৫১৫ রান। হাতে আড়াই দিন সময় আছে। কাগজে কলমে ওভারপ্রতি আড়াই রান করে এগোলেই টেস্ট জেতা সম্ভব। কিন্তু টেস্টে বাংলাদেশ ৪০০ বা এর বেশি লক্ষ্যে যে ২০ বার ব্যাট করেছে তার মধ্যে ১৯ বারই হেরেছে। ২০২৪ সালেই হেরেছে দুবার।
এটা জেনেই অনায়াসে গিলদের ডেকে পাঠাতে পেরেছেন রোহিত। পন্ত আউট হতে পারতেন ব্যক্তিগত ৭২ রানে। কিন্তু সাকিব আর হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিলেও সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন নাজমুল হাসান শান্ত। সে পন্ত ফিরেছেন সেঞ্চুরি করে। এতে ১৬৭ রানেই থেমে যায় দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটি। এরপর লোকেশ রাহুলকে নিয়ে এগোতে থাকেন গিল। দুজনে মিলে ওয়ানডে গতিতে রান যোগ করতে থাকেন ভারতের স্কোরবোর্ডে। এরমধ্যে ইনিংসের ৬০তম ওভারে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরির দেখা পান গিল।