নিউজ ডেস্ক
প্যারিসের থিয়েটার দু সাতেলেতে যেকোনো একজনের স্বপ্ন পূরণ হবে, প্রতিক্ষিত অনেকের স্বপ্ন পূরণে বাড়বে অপেক্ষা। এসব মিষ্টি-তিক্ত মিশ্রিত স্বাদের বাস্তবতা মেনেই প্যারিস থিয়্টোরে এসেছিলেন সবাই। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন এসে ধরা দিলো রদ্রির কাছে। ৬৪ বছর পর কোনো স্প্যানিশ তারকার হাতে উঠলো ব্যালন ডি’অর।
সোমবার রাতে প্যারিস থিয়েটারে ব্যালন ডি’অর জয়ী ঘোষণা করা হয় রদ্রিকে। তৃতীয় স্প্যানিশ ফুটবলার হিসেবে বছরের সেরা পারফরমারের পুরস্কারটি জেতেন তিনি। ম্যানচেস্টার সিটির প্রথম ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতলেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
রদ্রির আগে সর্বশেষ ১৯৬০ সালে স্প্যানিশ তারকা হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন লুইস সুয়ারেজ। আর স্পেনের প্রথম ফুটবলার হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি আলফ্রেদে ডি স্টেফানো। এই তারকা ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন দুইবার, ১৯৫৭ ও ১৯৫৯ সালে।
গত মৌসুমে চারটি শিরোপা জিতেছেন রদ্রি। স্পেনের হয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ আর ম্যানসিটির জার্সিতে প্রিমিয়ার লিগ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ।
ব্যালন ডি’অর জিতে রদ্রি বলেন, ‘আমার, আমার পরিবার এবং দেশের জন্য একটি বিশেষ দিন। শুধু আমার বিজয় নয়, এটি স্প্যানিশ ফুটবলের, অনেক খেলোয়াড়ের জন্য যারা এটি জিতেনি কিন্তু প্রাপ্য ছিল। যেমন (আন্দ্রেস) ইনিয়েস্তা, জাভি (হার্নান্দেজ), ইকার (ক্যাসিলাস), সার্জিও বুসকেটস- আরও অনেকে। এটা স্প্যানিশ ফুটবলের এবং মিডফিল্ডারের বিজয়।
’ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে দ্বিতীয় হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে ভিনিসিয়ুস ব্যালন জিতবেন না, এই খবর প্রকাশের পর প্যারিস থিয়েটারের অনুষ্ঠান বয়কট করে রিয়াল। যে কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। এমনকি রিয়াল ম্যানেজার কার্লো আনচেলত্তিকে বর্ষসেরা কোচ ঘোষণা করলেও তিনিও ছিলেন না অনুষ্ঠানে।
বর্ষসেরা পারফরমারদের তালিকায় তৃতীয় হয়েছেন ইংল্যান্ডের ফুটবলার হ্যারি কেইন। ২০০৫ সালের পর প্রথম ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে এই পর্যায়ে উঠে আসলেন বায়ার্ন মিউনিখের এই ফরোয়ার্ড। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন ফ্রাংক ল্যামপার্ড।
নারীদের ফুটবলে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন স্পেন ও বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি। টানা দুইবার এই পুরস্কার জিতলেন স্প্যানিশ তারকা। গত ১৮ মাসে বিশ্বকাপ ও দুইবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে ব্যালন ডি’অর ঘরে তুললেন তিনি।
বোনমাতি বলেন, ‘সব সময় বলেছি এটা এমন কিছু যা একা করা অসম্ভব। দারুণ কিছু খেলোয়াড় আমার আশপাশে থাকায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। সতীর্থদের ধন্যবাদ তাঁদের ছাড়া এখানে আসতে পারতাম না।’