চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সোনামসজিদ গৌড় শিশুপার্ক পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নতুন রূপে উন্মোচন করেছেন পার্কের পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম। পড়ালেখার পাশাপাশি শিশুদের মানসিক বিকাশ সাধনের জন্য প্রয়োজন চিত্তবিনোদন। এতে শুধু শারীরিক বিকাশই ঘটে না, মানসিক বৃদ্ধিও ঘটে সমানভাবে। আর এ বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ উপজেলার সাহাবাজপুর ইউনিয়নের মোঃ শহিদুল ইসলাম তার নিজস্ব অর্থায়নে সোনামসজিদ গৌড় শিশু পার্ক নির্মাণ করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঐতিহাসিক ছোট সোনামসজিদ সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে সোনামসজিদ গৌড় শিশু পার্ক। আর পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সোনামসজিদ গৌড় শিশু পার্ক নতুন রংঙ্গে রাঙিয়ে তুলেন পার্ক কর্তৃপক্ষেরা। অনেকেই মনে করছেন পার্কটি চালু হওয়ায় শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চিত্তবিনোদনের বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন এই শিশু পার্কে শিশুদের জন্য ঘোড়া গাড়ি, নাগরদোলা, ওয়ান্ডার হুইল, হানি সুইং, ম্যারি গো রাইড, প্যারাটুপার, জেট বিমানসহ থাকছে অসংখ্য রাইড।
কয়েকজন অভিভাবক বলেন, পার্কটি নতুন করে সজ্জিত দেখে আমাদের ভিসন ভালো লাগে আমাদের বাচ্চারা এখনে এসে অনেক বিনেদন করছে সব কিছু খুব ভাল ভাবে সাজানো গোছানো আমরা দেখে মোন মুদ্ধ। সোনামসজিদের কাছাকাছি কোন পার্ক ছিলনা। এ পার্কটি নির্মাণের মধ্যদিয়ে কোন উৎসব বা বিশেষ করে ছুটির দিনে বাচ্চাদের নিয়ে সময় কাটানোর একটা জায়গা তৈরী হলো। এতসুন্দর উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানায় পার্ক কর্তৃপক্ষেকে।
সুশিলসমাজের লোকজনসহ বিনোদনপ্রেমী মো. আনোয়ার ও মো. সাদরুল আমীন জানান, শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ সাধনের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রয়োাজন সুন্দর চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা। সোনামসজিদ গৌড় শিশু পার্ক কর্তৃপক্ষ যে ধরনের শিশু পার্ক নির্মাণ করেছে তা অকল্পনীয়। তবে প্রতিবন্ধি শিশুদের জন্য যদি বিশেষ রাইডের ব্যবস্থা করত, তাহলে তা প্রতিবন্ধিবান্ধব এবং পরিবেশসম্মত হতো। বিষয়টি বিবেচনা করারও তাগিদ দিয়েছেন অনেকে। সময়ের প্রয়োজনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আকর্ষণীয়, দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে বলে তারা আশাবাদী।
এ বিষয়ে সোনামসজিদ গৌড় শিশু পার্কের স্বত্বাধিকারী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সামাজিক জীব হিসেবে দায়বদ্ধতা থেকে এ পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে। আমি একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে অনুধাবন করেছি ছুটি কিংবা কোন বিশেষ দিনে বাচ্চাদের নিয়ে বিনোদনের জন্য ঘুরতে যাবার জায়গা ছিলনা। ১৬ সালে পার্কটি উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে সে অভাবটা থাকবেনা। তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুন্দর মনোরম পরিবেশে এসে সময় কাটাতে পারবে। তবে এ পার্কটি আরও আধুনিক করতে সর্বদা প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, পার্কটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে বিনোদনের জন্য দীর্ঘদিনের যে চাহিদা তা পূরণ হবে বলে আশা করছি। আর পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন থেকে জোসনারা শিশুপার্কে উপচে পড়া ভিড়ে শিশু এবং অভিভাবকরা বেশ বিনোদনে মেতে উঠেছিল এবং পহেলা বৈশাখে আরো সুন্দর পরিপাটি করে তুলেছি দর্শনার্থীরা বিনেদন উপভোগ করবে বলে আশাবাদি।