নিউজ ডেস্ক
প্রধান বিচারপতির পদ থেকে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর পদত্যাগপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছেছে। এর উপযুক্ত প্রসেসের জন্য কাল বিলম্ব না করে আমরা এটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব। আমি আশা করব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আপনারা সবাই শান্ত থাকবেন দেশের সম্পদ নষ্ট করবেন না।’
এদিকে, প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়েছেন।
এর আগে আজ ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ অবিলম্বে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মদতপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সাথে কোনোপ্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছেন। পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদের উসকানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। অনতিবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।’
এরপরই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে ফুল কোর্ট সভা স্থগিত করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শনিবারই এই সভা হওয়ার কথা ছিল।
২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল হাসানকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। ২৬ সেপ্টেম্বর শপথ গ্রহণের পর দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।